Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি
বিস্তারিত
সুচনা

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত একটি বৃহৎ এবং ঐতিহ্যবাহী সরকারী প্রতিষ্ঠান। ষাট-এর দশকে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ‘‘কুমিল্লা মডেল’’ বাসতবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বিআরডিবি বর্তমানে গ্রামীণ সংগঠন গড়ে তোলা, ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনা, পুঁজি গঠন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে। বর্তমানে ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।

কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বিআরডিবি দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে পল্লীর অতিদরিদ্র এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্নমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলশ্রুতি হিসেবে দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত করেছে। আয়বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন এবং সামাজিক ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমানে বিআরডিবি ব্যাতিক্রমধর্মী বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ‘‘উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি (২য় পর্যায়) এমনি একটি ব্যতিক্রমধর্মী দারিদ্র্য বিমোচন মূলক প্রকল্প।

ইতিহাস

দারিদ্র্যতা বাংলাদেশের একটি বড় সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে এরূপ দরিদ্রের গড়হার ৫৫% এর ঊর্ধ্বে এবং গ্রামীণ অঞ্চলের ২৩% পরিবারকে অতিদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আগ্রাসী তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র নদের অবস্থান এবং উত্তরে হিমালয় এ অঞ্চলের ভূমন্ডলকে এক বিচিত্র বৈশিষ্ট্য দান করেছে। বন্যা ও নদীভাঙ্গনে বাস্তচ্যুতি, কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া, অনাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি, গবাদিপশু বিনষ্ট, প্রতি বছর বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি সাধারণ চিত্র। ফলশ্রুতিতে চড়া সুদে মহাজনী ঋণ, খাদ্যশস্য অগ্রিম বিক্রি, ৫০:৫০ বর্গাপ্রথা, কম মজুরী, অগ্রিম শ্রম বিক্রয়, কর্মহীনতা, দরিদ্র শ্রেণীকে আরও দরিদ্রাবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে। ফলে কর্মহীনতার কারণে দরিদ্র শ্রেণীর ক্রয়ক্ষমতা দারুনভাবে কমে যাচ্ছে।

বছরের সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ৩ মাস ক্রয়ক্ষমতার অভাবে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্ণনাতীত কষ্টে জীবনযাপন করে থাকে। এ অবস্থায় উত্তরাঞ্চলের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার বিগত জুলাই, ২০০৭ থেকে জুন, ২০১৩ মেয়াদে ৪৬ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘‘উত্তরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ প্রকল্প’’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ২৮ হাজার ৬ শত ৩১ জন উপকারভোগীকে বিভিন্ন ট্রেডে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উপকারভোগীর অধিকাংশই তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে স্বকর্মে নিয়োজিত হয়েছেন। ফলে তাদের উপার্জন বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার মান উন্নীত হয়েছে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, আইএমইডি এবং পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত মূল্যায়ন কমিটি প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করে। প্রকল্পের কার্যক্রম মূল্যায়ন কমিটির নিকট ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ফলে  মূল্যায়ন কমিটি প্রকল্পটিকে সম্প্রসারণের নিমিত্ত ২য় পর্যায় গ্রহণ ও বাসত্মবায়নের সুপারিশ করে। উক্ত সুপারিশের প্রেক্ষিতে এপ্রিল, ২০১৪ হতে মার্চ, ২০১৯ সময়ে ৫ বছর মেয়াদে ৯৪ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘‘উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি (২য় পর্যায়)’’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
24/11/2019
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2019